ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে: আবু সুফিয়ান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে: আবু সুফিয়ান ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম ছাত্রীদেরকে স্লোগান দিতে। তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার! কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার! স্বৈরাচার! 

‘পুলিশ যখন সাধারণ ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছিল ছাত্রীরা তখন পুলিশের গাড়ির সামনে গিয়ে ব্যারিকেড হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার জন্য রাজপথে পানি ও খাবার নিয়ে এগিয়ে এসে তাদের সাহস জুগিয়েছে এদেশের মা-বোনেরা। পৃথিবীর বুকে যত পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, যত বিপ্লব হয়েছে, প্রতিটি পরিবর্তন ও বিপ্লবে নারীর ভূমিকা অসামান্য।
তাই আওয়ামী শাসক গোষ্ঠীর দুর্নীতি ও দুঃশাসনে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মেরামতে দেশনায়ক তারেক রহমান ৩১ দফার যে আধুনিক রূপরেখা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নেও নারী সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে’।

রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয়তাবাদী নারী অধিকার ফোরাম চান্দগাঁও থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু সুফিয়ান বলেন, যে লক্ষ্য ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি তা এখনো পূর্ণ হয়নি। শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন হয়েছে, তা হলো ফ্যাসিস্ট সরকার তার দল-বল নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও জনদুর্ভোগ এখনো কমেনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজার পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় নেই। সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে আওয়ামী লীগের লোক আছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে।  

নারী সংগঠক শিরিন জাহান শিরিনের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সাবেক মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বকতেয়ার, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, হাজী ইলিয়াছ শেকু, জসিম উদ্দিন, গোলজার হোসেন, এম. আবু বক্কর রাজু, মো. আলমগীর, মো. আলম, নুরনবী, সাইদুল ইসলাম, মো. হোসেন মাসুম, নারী নেত্রী পারভীন আক্তার, ফরিদা বেগম, মোছাম্মৎ মুক্তা, সাবরিনা আক্তার, রশিদা খানম, দিলসাত বেগম, রুবিনা আক্তার, জাহেদা বেগম, রোকেয়া হক, শহীদুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, সোলায়মান, নাঈম ও সাফায়েত হোসেন সোহান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৫
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa