ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৫ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্পিত সম্পত্তিতে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
অর্পিত সম্পত্তিতে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা: স্বাধীনতার আগে ও পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কৃষি-পতিত জমি লিজ দেওয়া হয়। সেসব সম্পত্তির ওপর সম্প্রতি ৬০০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

এই বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ অর্পিত সম্পত্তি লিজ গ্রহীতা সমিতি।

মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ অর্পিত সম্পত্তি লিজ গ্রহীতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে বাৎসরিক লিজ মানির হার এক শতাংশ থেকে ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। উচ্চহার নির্ধারণের কারণে বেশিরভাগ গরীব লিজ গ্রহীতারা নির্দিষ্ট সময়ে লিজ নবায়ন করতে পারছেন না।

বক্তারা বলেন, অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত প্রদানের উদ্দেশ্য খসড়া বিধিমালা তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। অর্পিত সম্পত্তি আইনে বলা ছিল ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির দাবিদার নেই এবং কমপক্ষে দশ বছরের বেশি সময়ে লিজ নেওয়া বসবাসকারীদের ন্যূনতম সালামিতে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হবে। লিজ নিয়ে সারা দেশে অসংখ্য পরিবার বসবাস এবং লিজ মানি পরিশোধ করে আসছে।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনে হোল্ডিং নম্বর,গ্যাস-বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ এবং বিএস খতিয়ানে দখল কলামে লিজ গ্রহীতার নাম সন্নিবেশিত আছে। এসব সম্পত্তির দাবিদার না থাকায় অর্পিত সম্পত্তি স্বল্প সালামি মূল্যের বিনিময়ে স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদানে কোন প্রকার বাধা বা প্রতিবন্ধকতা নেই।

তবে পরবর্তী সময়ে বাড়িঘরগুলো পুরানো ও জরাজীর্ণ হয়ে গেলেও ভূমি মন্ত্রণালয় কোন প্রকার সংস্কারের কাজ করেনি। বরং ২ থেকে ৩ বছর পর পর লিজের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে।

যদিও ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে যে ২৪ বছরে কোনো প্রকার লিজ মানি বৃদ্ধি করা হয়নি,যা ভুল। সময়ে সময়ে বহুবার লিজ মানির হার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনায় ৩ লাখ টাকা শতক, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ২ লাখ টাকা শতক, জেলা শহরে দেড় লাখ টাকা শতক এবং উপজেলা পর্যায়ে এক লাখ টাকা হারে সালামির হার নির্ধারণ করা যায়। সুতরাং ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের মাধ্যমে হঠাৎ করে বাৎসরিক লিজ মানির হার ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি করাটা অযৌক্তিক।

এক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ে সচিব স্বাক্ষরিত ৪২ নাম্বার পরিপত্র প্রত্যাহার করে আগের হারে লিজ গ্রহণের দাবি করেন তারা। এছাড়া একসনা লিজ নিয়ে বসবাসকারীদের মধ্যে অর্পিত সম্পত্তির প্রকৃত অবস্থান বিবেচনায় রেখে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত প্রদান করারও দাবি জানায় এই সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শহীদুল আলম লস্কর, উত্তম দে, মোহাম্মদ কামাল, হোসেন মীর মহব্বত হোসেন ও চন্দন কুমার নাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa