ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষা

জাবি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে প্রবাসীর বাড়ি দখলে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
জাবি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে প্রবাসীর বাড়ি দখলে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার আপন ভাইয়ের জামাতা জার্মানপ্রবাসীর বাড়ি দখলে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আশুলিয়া এলাকায় পাঁচ শতাংশ জমি কিনেছিলাম। পরে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন আমার আপন ছোট চাচা শ্বশুর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার তারিকুল ইসলাম যৌথভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী, আমার ভাগের অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে আমার শ্যালক মামুনকে কাজ তদারকির দায়িত্ব দিয়ে জার্মানিতে চলে যাই। তবে কিছুদিন পরে মামুন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

তিনি আরও বলেন, জার্মানি থেকে ফিরে দেখি, তারিকুল আমার ভাগের কাজ ফেলে রেখে নিজের ভাগের কাজ শেষ করেছেন। তখন তার কাছে চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই। কিন্তু আমার প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান তারিকুল। অন্যদিকে আমার ও আমার পরিবারের কাছে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন তারিকুল। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার তারিকুল।

রফিকুল ইসলাম বলেন, তারিকুল আমার জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। আবার আমরা বাড়িতে ঢুকতে চাইলেও তিনি বাধা দিচ্ছেন। এছাড়া এতদিনে আমার প্রায় ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি করেছেন। তাই আমরা আমাদের প্রাপ্য সম্পত্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আসমাউল হুসনা বলেন, নিজের আপন চাচা সম্পত্তির জন্য এমন জঘন্য কাজ করতে পারে তা আমরা কখনো ভাবিনি। তিনি তার সত্তোরর্ধ আপন বড় ভাইদের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে স্ত্রীকে দিয়ে মামলা করিয়ে নিয়েছেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তির এমন মনোবৃত্তি আমাকে আমার শ্বশুরবাড়িতে হেয় করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নিজেদের ন্যায্য হিসাব বুঝে পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ সময় অভিযোগ করে রফিকুল ইসলামের শ্বশুর ও তারিকুল ইসলামের বড়ভাই ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘আমি তারিকুলের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য পাঁচ কিস্তিতে ২৩ লাখ টাকা দিয়েছি। তবে এখন তারিকুল ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ’ 

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার তারিকুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকায় জমি কিনে নিয়েছি। এছাড়া বাড়ি নির্মাণের জন্য অধিকাংশ খরচ আমি বহন করেছি। তারা আমার খরচের অর্ধেক পরিশোধ করলে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেব। ’

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির কাজ চলাকালে রফিকুলকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বললে, তিনি তার শ্বশুরের মাধ্যমে আমাকে ২৩ লাখ টাকা দেন। তবে তারা এখন সেই টাকার বিনিময়ে ফ্ল্যাট দাবি করছেন। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ

Alexa