ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

বরিশালের ৫ উপজেলায় প্রায় অর্ধেক প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
বরিশালের ৫ উপজেলায় প্রায় অর্ধেক প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন 

বরিশাল: প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রায় অর্ধেকই জামানত হারাচ্ছেন।  

বিভাগের বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর এবং ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের ভোট শেষে হয়েছে বুধবার ৯মে।

পাঁচটি উপজেলায় তিন পদের জন্য ভোটে লড়েছেন ৫৫ জন প্রার্থী।  তাদের মধ্যে ২০ জনই নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পাননি। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন।  

বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সদস্য পদত্যাগ করা চারকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম ছবি দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জমানত টিকাতে ১১ হাজার ১৬৫ ভোটের দরকার ছিল।  

একই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী(পিএস) টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৯১৮ ভোট এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহিদ মোহম্মদ শাহনেওয়াজ উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৫ হাজার ৭৮ ভোট। জামানত টিকাতে তাদের প্রয়োজন ছিল ১১ হাজার ১৬১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মারিয়া আক্তার ১০ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত টিকাতে তার ১১ হাজার ১৬২ ভোট প্রয়োজন ছিল ভোট।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. কামরুল ইসলাম খান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে দুইশত ৮৫ ভোট এবং ফিরোজ আলম খান ১ হাজার ৭০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত টিকাতের তাদের ১১ হাজার ৮৮৭ ভোট পাওয়ার দরকার ছিল। এই উপজেলার ৪ হাজার ৮২৪ ভোট পেয়ে বই প্রতিকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাবাজ মিঞা জামানত হারিয়েছেন। তার প্রয়োজন ছিল ১১ হাজার ৮৮৭ ভোট।

এছাড়া পিরোজপুর জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে পিরোজপুর সদর চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৬০৭ ভোট পেয়ে আনাসর প্রতিকের প্রার্থী মো. শফিউর হক জামানত হারিয়েছেন। জামানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৫ হাজার ৭৭২ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই কাঙ্ক্ষিত ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়েছেন টিয়া পাখি প্রতীকের আজমল হুদা। উড়োজাহাজ প্রতীকের মুহম্মাদ আলী রুপ্পি পেয়েছেন তিন শত ৫৯ ভোট, বই প্রতীকের মো. রাসেল সিকদার পেয়েছেন দুই হাজার ১৩ ভোট, মো. সোহাগ সিকদার বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৬১ ভোট এবং লাবনী আখতার মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছে চার হাজার ৪৩৭ ভোট। তাদের জামানত টিকাতে ৫ হাজার ৭৭২ ভোট প্রয়োজন ছিল।

ইন্দুরকানী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীকের এম মতিউর রহমান পেয়েছে দুই হাজার ৭০৫ ভোট এবং কাপ-পিরিচ প্রতীকের নিয়ে শেখ আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ৭০৮ ভোট। জামানত টেকাতে তাদের ৩ হাজার ৩৬৫ ভোট প্রয়োজন ছিল।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন প্রার্থী মধ্যে টিয়া পাটি প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন জামানত হারিয়েছেন। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৩৮৪ ভোট। জমানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল তিন হাজার ৩৬৫ ভোট। উপজেলা নাজিরপুরে চেয়ারম্যান পদে চারজনে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে দ্বীপ্তি চন্দ্র হালদার পেয়েছে ৫ হাজার ৫২৭ ভোট। জামানত টেকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৮ হাজার ১৯৫ ভোট।  

বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সর্ব শেষ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই অনুযায়ী যে সকল প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের চেয়ে ১৫ শতাংশের কম ভোট কম পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত জন্য কমিশনে সুপারিশ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa