ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ফুটবল

জার্মানি-পর্তুগালের স্নায়ুযুদ্ধ

নুরুজ্জামান ফারাবি, ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৪
জার্মানি-পর্তুগালের স্নায়ুযুদ্ধ

ঢাকা: গ্রুপ পর্বের সবগুলো দলের খেলা দেখা হলেও বাকি ছিলো গ্রুপ ’জি’। সোমবার রাত ১১টায় সালভাদর স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের শক্ত প্রতিপক্ষ জার্মানি ও পতুর্গালের খেলা হবে।



জার্মানির আক্রমন ভাগ অনেক শক্তিশালী। তাদের দলে রয়েছেন মেসুত ওজিল, টমাস মুলার, আন্দ্রে শুর্লে , মারিও গোটজের মতো সেরা খেলোয়াড়রা।

পতুর্গাল দলও কম নয়। তাদের দলে রয়েছে ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার সঙ্গে আছেন হেলদার পোশ্চিগা, নানি, পেপে, মিডফিল্ডে রয়েছে মিগেল ভেলসো ও জোয়াও মউতিনহো।

জীবকোষের ‘পাওয়ার হাউজ’ মাইটোকন্ড্রিয়া। শক্তির উৎস বলা হয় একে। ঠিক তেমনি ফুটবলের ‘পাওয়ার হাউজ’ জার্মানি। জার্মান ফুটবলে রয়েছে অ্যাটাকিং, ড্রিবলিং, স্ট্র্যাপিং, ইনসুইংগার, ম্যান টু ম্যান মার্কিং, হেড ফ্রি-কিকের সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা ও দক্ষতা।

জার্মানরা বিশ্ব ফুটবল, ইউরোপিয়ান লিগ, অলিম্পিক সহ সকল প্রতিযোগিতায় নিজেদের গায়ে সফলতা লাগিয়েছেন। গোল হজম করেও পাল্টা গোল দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।

ফিফা র‌্যাংঙ্কিয়ে জার্মানি দুই নম্বরে আর পতুর্গাল আছে চারে। বিশ্বকাপ ফুটবলে র‌্যাংঙ্কিয়ের চেয়ে মাঠের কাজ করাই বড় প্রমান।

জার্মানির বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান:

বিশ্বকাপে সবসময় ফেভারিটের তকমা লাগিয়ে থাকে জার্মানি। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আগের ১৯ আসরের মধ্যে ১২ বারই খেলেছে সেমিফাইনালে।

তিনবার চ্যাম্পিয়ন ১৯৫৪, ১৯৭৪ ও ১৯৯০ আসরে এবং চারবার রানার্সআপ ১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ২০০২ আসরে।

জার্মানিদের সামনে আজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। এ দ্বৈরথে জার্মানির পক্ষেই কথা বলছে ইতিহাস। পর্তুগালের এক মাত্র অস্ত্র রোনালদো। যিনি যেকোন সময় পাল্টে দিতে পারেন খেলার মোড়।

বিশ্বকাপে গোলের ইতিহাস গড়ার হাতছানি জার্মানির স্ট্রাইকার মিরোসাভ ক্লোসার সামনে। তার গোলসংখ্যা ১৪। আর দুটি গোল করলেই ব্রাজিলের ‘দ্য ফেনোমেনন’ খ্যাত রোনালদোকে (১৫ গোল) টপকে তিনিই এককভাবে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়ে যাবেন।


পর্তুগালের বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান:

২০১৪ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে এ নিয়ে মোট ছয়বার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে পর্তুগাল।

১৯৬৬ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলে পর্তুগাল। বিশ্বকাপে ৩য় স্থান লাভ করে তারা এবং এটাই পর্তুগালের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা পারফরম্যান্স। ২০ বছর পর ১৯৮৬ সালে আবারও বিশ্বকাপের আসরে ফিরে পর্তুগাল। কিন্তু এবার তারা গ্রুপ পর্বেই বাদ পরে।

২০০২ সালে নিজেদের ইতিহাসে ৩য় বারের মত অংশ নেয় পর্তুগাল। এবারও তাদের থেমে যেতে হয় গ্রুপ পর্বে। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে চতুর্থ হয় পর্তুগিজরা। ২০১০ বিশ্বকাপে আবারও ব্যর্থ তারা। শেষ ষোলোতেই স্পেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় রোনালদোদের।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, ১৬ জুন ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa