ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

চলে গেলেন নোবেলজয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
চলে গেলেন নোবেলজয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার/সংগৃহীত ফটো

শান্তিতে নোবেলজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইনসে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

জিমির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার। এদিকে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রাজনীতিবিদরা।

মৃত্যুকালে জিমি চার সন্তান রয়েছে ও ১১ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রোসালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যায়। ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিমি কার্টার। গত অক্টোবরে জিমি তার ১০০তম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন।

এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন, শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন এমন সবার কাছেই।

জিমি কার্টার ডেমোক্র্যাট দল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।  জনপ্রিয়তা হারিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম ফিরে পান জিমি। এর স্বীকৃতি হিসেবে ২০০২ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

জিমির যাত্রা শুরু হয়েছিল জর্জিয়ার প্লেইন্সেেই। তিনি ১ অক্টোবর ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে সহায়তা করেছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে কার্টার পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য ১৯৫৩ সালে তার নিজ শহরে ফিরে আসেন।

জিমি ১৯৬০ সালের দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হওয়ার আগে জর্জিয়ার প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কার্টার জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।  যিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। কার্টার ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন জিমি।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০,২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa