ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

আগরতলা

জানুয়ারিতে ত্রিপুরার তাপমাত্রা নামতে পারে এক অঙ্কে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
জানুয়ারিতে ত্রিপুরার তাপমাত্রা নামতে পারে এক অঙ্কে

আগরতলা (ত্রিপুরা): পৌষ মাসের শীতে কাবু গোটা ত্রিপুরা রাজ্য। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে শীতের দাপট অনেকটাই বেশি। ঘন কুয়াশার চাদরে সূর্য ডেকে থাকায় ঠাণ্ডা আরও বেশি লাগছে বলে অভিমত আগরতলা বিমানবন্দরস্থ আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা দিলীপ সাহার।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসে আবহাওয়া ১০ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।

শীতল হাওয়া পরিবেশের খুব কাছাকাছি নিচের দিকে থাকায় ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ঠাণ্ডা হাওয়া বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে উঠে গেলে ঠাণ্ডার দাপট অনেকটা কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, যখন দিনের তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় এক সমান থাকে তখন শীত বেশি অনুভূত হয়। এর কারণ হলো- এই সময় সূর্যের আলো তেমন বেশি পাওয়া যায় না। জানুয়ারি মাসে আরও বেশি শীত রাজ্যবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে। নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা তারও নিচে নামতে পারে। তবে এমন কম তাপমাত্রার স্থায়িত্ব এক সপ্তাহের বেশি থাকবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা ছিল ১৯৪১ সালে।

তাপমাত্রা এত নিচে নেমে যাওয়ার কারণ কি ছিল? এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রার হেরফের ঘটে। ভারতের ভূস্বর্গ বলে পরিচিত কাশ্মীরসহ অন্য অঞ্চলে বরফ পড়ে থাকে এর জন্য পশ্চিমী ঝঞ্জা দায়ী। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা মূলত ইরানসহ আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে এসে থাকে। এর গতিপথ ভারতের উত্তর অংশের দিকে থাকে যখন গতিপথ পাল্টে দক্ষিণের দিকে চলে আসে তখন ত্রিপুরা এরমধ্যে পড়ে যায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যখন বেরিয়ে চলে যায় তখন পরিবেশ একেবারে পরিষ্কার হয়ে যায়। আকাশের রং গাঢ় নীল দেখায়, আর তখনই উত্তরে হাওয়া প্রচুর পরিমাণে এসে এই শূন্য জায়গা দখল করে নেয়। ফলে তাপমাত্রা দ্রুত নিচের দিকে নামতে থাকে। এর জেরে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়। যদি এভাবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আবারো তার গতিপথ পাল্টে ত্রিপুরার উপর দিয়ে আসে তবে নতুন করে তাপমাত্রা কমার রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।

শহরের এক পথচারী বিনয় ভূষণ দাস বলেন, তীব্র শীতের সঙ্গে কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে লোকজন কম, চারিদিক অন্ধকার হয়ে আছে। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া লোকজন একেবারেই বাইরে বের হচ্ছেন না। তাছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেককেই আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিতে দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa